রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৬ অপরাহ্ন
মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার:
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় পিআইসি গঠনে অনিয়ম আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক ও জেলা কাবিটা বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি বরাবরে দুই কৃষক পৃথকভাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে এই অভিযোগ দায়ের করেন শাল্লা উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের বাসিন্দা কৃষক মোঃ রুহুল আমিন ও একই গ্রামের কৃষক দ্বীপক চন্দ্র দাস।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২ জানুয়ারী শাল্লা উপজেলা কাবিটা বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সকল সদস্যদের উপস্থিতি ও মতামতের ভিত্তিতে প্রকৃত কৃষকদের নিয়ে পিআইসি গঠন করা হয় এবং কালিকোটা হাওরে উপ-প্রকল্পের আওতায় ৬২নং প্রকল্পে কৃষক রুহুল আমিনকে সদস্য সচিব করা হয়। নাম ঘোষণার পর কৃষক রুহুল আমিন সকল কাজের প্রস্তুতি নেন। পরে তিনি জানতে পারেন সভায় সিদ্ধান্তকৃত পিআইসিকে কার্যাদেশ না দিয়ে এরশাদুল মিয়া নামে একজনকে প্রকল্পের সদস্য সচিব করা হয়েছে, হাওরে যার কোন জমিজমা নেই। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, ভূমিহীন ব্যক্তিকে দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করলে বাঁধ হুমকির মুখে পড়তে পারে এবং এতে কৃষকদের ক্ষতির সম্ভাবনাও বেশি থাকে।
অন্যদিকে একই অভিযোগ দায়ের করে কৃষক দ্বীপক চন্দ্র দাস বলেন, গত ২ জানুয়ারী তারিখে শাল্লা উপজেলা কাবিটা বাস্তবায়ন কমিটির সকল সদস্যদের উপস্থিতি ও মতামতের ভিত্তিতে কালিকোটা হাওর উপ-প্রকল্পের আওতায় ৬৫নং প্রকল্পের সদস্য সচিব হিসেবে আমার নাম উল্লেখ করা হয়। কিন্তু অদৃশ্য শক্তির ইশারায় সিদ্ধান্তকৃত আমাকে কার্যাদেশ না দিয়ে অন্য একজনকে প্রকল্পের সদস্য সচিব করা হয়েছে। উভয়ের অভিযোগ, প্রকৃত কৃষকের সার্বিক দিক বিবেচনায় কাবিটা নীতিমালা বহির্ভূত কমিটি বাতিল করে নতুন পিআইসি গঠনে জেলা প্রশাসকে হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে আটগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাশেম আজাদ বলেন, শাল্লা উপজেলায় গঠিত পিআইসি কমিটিতে প্রকৃত কৃষক অভিযোগকারী রুহুল আমিন ও দ্বীপক দাসের নাম ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে তাদের না জানিয়ে পিআইসি কমিটি থেকে বাদ দেওয়াটা হয়তো বা উপরের নিদের্শে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এমন পরিবর্তন করেছেন, যা নীতিমালার মধ্যে পড়ে না।
এ ব্যাপারে শাল্লা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল মোক্তাদির বলেন, নীতিমালার আলোকেই এই উপজেলার সবকটি পিআইসির কমিটি গঠন করা হয়েছে। যারা অভিযোগ করেছেন, তারা তাদের ব্যক্তি স্বার্থ নিয়ে অভিযোগ করে থাকতে পারেন বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুল আহাদ জানান, আমার অফিসে অভিযোগপত্র দিলেও এখনো হাতে আসেনি। অভিযোগ হাতে আসলে তা দেখে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।